পেকুয়া অফিস :
পেকুয়ায় ওয়াকফ জমি জবর দখল নিতে ফাঁকা গুলি ছুড়াল দুবৃর্ত্তরা। মাইমুনা খাতুন চৌধুরানী ওয়াকফ স্টেটের ৬১.৩৫ একর জমি নিয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অস্ত্রধারী দুবৃর্ত্তরা রাতে ফাঁকা গুলি ছুড়ছে। এতে করে সদর ইউনিয়নের দক্ষিন ও মধ্যবর্তী এলাকাসমুহ আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি গুলি বর্ষনের ঘটনায় জনমনে ভীতি ও আতংক দেখা দেয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষনের এ ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। এ দিকে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে মাইমুনা খাতুন চৌধুরানী ওয়াকফ স্টেটের মোতাওয়াল্লী চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া ইউনিয়নের মৃত শওকত আলী চৌধুরীর স্ত্রী হালিমা রহমান চৌধুরানী জেলা পুলিশ সুপার কক্সবাজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।
সুত্র জানায়, মাইমুনা খাতুন ওয়াকফ জমির আধিপত্য নিতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা এলাকায় স্বশস্ত্র একটি গ্রুপ এলাকায় শক্তির মহড়া দিচ্ছে। তারা ওই জমি জবর দখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। ডেমুশিয়ার জমিদার বাড়ীর মাইমুনা খাতুন চৌধুরানী ৬১.৩৫ একর জমি ওয়াকফ দলিল মুলে হস্তান্তর করেন। শিক্ষা প্রতিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্টান, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করতে এ জমি ওয়াকফ প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত। মোতাওয়াল্লী হালিমা রহমান চৌধুরানী। যার ইসি নং ১৭২৬। সুত্র জানায়, সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা, সিরাদিয়া ও মইয়াদিয়া এলাকায় এ জমির অবস্থান। জমির স্থানীয় কার্যকারক জালাল উদ্দিন ও বিলহাসুরা এলাকার মোহাম্মদ আলমগীর। মোতাওয়াল্লী এ জমি দেখভাল করতে এ দুইজনকে দায়িত্ব দেয়।
জানা গেছে, ৬১.৩৫ একর জমিতে অনুপ্রবেশসহ জবর দখল নিতে ১০/১৫ জনের স্বশস্ত্র অস্ত্রধারী জড়ো হয়। তারা ওই জমিতে চিংড়ি চাষ করতে মরিয়া। ওয়াকফর মোতাওয়াল্লীকে কোন ধরনের ওয়াসিলা ছাড়া এ জমি জবর দখলে নিতে গত ১৫ দিন ধরে থেমে থেমে রাতে গুলি ছুড়ছে। গত পর পর ২ দিন দফায় দফায় ফাঁকা গুলি ছুড়ছে। পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ সুত্র জানায়, বিলহাসুরার মোস্তাক আহমদের ছেলে মমতাজ, জাহেদ, রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে ভাড়াটে অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়ছে। জমির তত্তাবধানকারী জালাল উদ্দিন, আলমগীরসহ স্থানীয়রা জানায়, তারা অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষন করছে। রাতে প্রচন্ড গুলির আওয়াজে মানুষের মধ্যে আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তারা ওয়াকফ জমি দখলে নিতে পথে ঘাটে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
মোতওয়াল্লী হালিমা চৌধুরানী জানায়, আমরা গভীরভাবে হতাশ হয়েছি। জমি দখল নিতে মমতাজ মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলাকায় অবস্থান নেয়। প্রতিদিন গুলি ছুড়ছে। আমাদের চাষা ও প্রজাদের উপর অত্যাচার চলছে। পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানায়, মমতাজ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী। সে সম্পর্কে পুলিশ অত্যন্ত সচেতন। তবে এ দাগী ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা কোন সন্ত্রাসী কিংবা অপরাধীকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
পাঠকের মতামত: